Wednesday 18 July 2012

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এ সময়ে ব্যবসা, কর্মক্ষেত্রে এমনকি বাসাবাড়িতেও নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রযুক্তিপণ্য এনেছে বৈপ্লবিক সমাধান। নিরাপত্তায় অন্যতম সমাধান প্রযুক্তিপণ্য সিসিটিভি এবং ডিভিআর বা ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডিং।

অফিস, নির্মাণপ্রতিষ্ঠান সুবৃহৎ শপিংমল ছাড়াও বিদ্যালয়ে পর্যন্ত নিরাপত্তায় ব্যবহৃত হচ্ছে সিসিটিভি। সারা বিশ্বে এর গুরুত্ব ও ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ এর ব্যতিক্রম নয়। সারা বিশ্বে যে কয়টি নামকরা সিসিটিভি ক্যামেরা বা ডিভিআর ব্রান্ড জনপ্রিয়তা পেয়েছে এর মধ্যে টেলিআই অন্যতম।

হংকংকেন্দ্রিক এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে সিসিটিভি পণ্য পরিবেশক আইসিএলয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বাজারে টেলিআই পণ্যসেবা বাজারজাত করে আসছে। এ মুহূর্তে টেলিআই পণ্যের জনপ্রিয়তা এবং বাজার চাহিদার কথা চিন্তা করে টেলিআই বাংলাদেশে সরাসরি তাদের কার্যক্রম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আনুষ্ঠানিক এ সূচনায় বক্তব্য রাখেন টেলিআই বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ মাহমুদ। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন ডক্টর ক্লিফ চ্যান।

জাভেদ মাহমুদ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আইসিইএল দেশে নিরাপত্তা প্রযুক্তি ও পণ্যসেবা সরবরাহ ও বিপণন করে আসছে। আর কারিগরি মানোন্নয়ন, বিক্রয় এবং বিপণনে সহযোগিতা করে আসছে টেলিআই গ্রুপ। সিঙ্গাপুর, ইংল্যান্ড, চীন, ফিলিপাইন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছে টেলিআইয়ের সেবা প্রতিষ্ঠান। নতুন এ যৌথ প্রয়াসে সিসিটিভি নিরাপত্তা ব্যবস্থা পদ্ধতি, বিক্রয় ও বিপণনে আরও নবগতি আসবে বলে তিনি দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশে টেলিআইয়ের যাত্রা প্রসঙ্গে ক্লিফ চ্যান বলেন, বাংলাদেশে টেলিআইয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। এতে পণ্য ও সেবার মান আরও সুনিশ্চিত হবে। এ ছাড়াও চ্যান টেলিআইয়ের পণ্যের বিভিন্ন কারিগরি দিক নিয়ে সুনির্দিষ্ট আলোচনা করেন।

টেলিআই প্রসঙ্গে ক্লিফ চ্যান বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্র্যান্ডের মাধ্যমে এইচডি মানের সিসিটিভি আউটপুট পাওয়া যাবে। আর তা সংরক্ষণে জায়গাও কম খরচ হবে। সব মিলিয়ে এটি একটি সাশ্রয়ী প্যাকেজ।

বাংলাদেশ সময় ১৮৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১২

Wednesday 4 July 2012

ফ্রীলান্স সাইট



অভিজ্ঞদের সাথে আলোচনার একটা বিষয় এটা হতে পারে। আপনি কিভাবে মার্কেট প্লেস চিনবেন। কোনটা আপনার জন্য ভাল হবে। কি কাজ আপনি করতে পারবেন আসব নিয়ে। লক্ষ করুন, সারা বিশ্বে অনেক রেপুটেড ফ্রীলান্স সাইট আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: oDesk.com, Freelancer.com, eLance.com,, vWorker.com ইত্যাদি। এদের সম্পর্কে আমার লিখা দৈনিক সমকালের ফিচার থেকে সংক্ষেপে কিছু লিখা দিলাম নিচে:
ফ্রীলান্সার.কম: নিউ সাউথ ওয়েলস, সিডনী-তে অবস্থিত ফ্রীলান্সার.কম সাইটটি গেট-এ-ফ্রীলান্সার.কম নামে যাত্রা শুরু করে ২০০৪ সালে। পরবর্তীতে ২০০৯ অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি Ignition Networks ৭ই মে ২০০৯ সালে গেট-এ-ফ্রীলান্সার.কম কে কিনে নেয় এবং সেই বছরের অক্টোবর মাসে সাইটটির নাম পরির্তন করেন নাম কর হয় বর্তমান ফ্রীলান্সার.কম। সাইটটির সিইও হিসেবে আছেন Matt Barrie. সাইটটিতে বর্তমানে ৩২, ৩৫,২২০ জনেরও বেশি সংখ্যক মানুষ ১৪,৮৭,৬৯৮টি প্রোজেক্টে কাজ করেছেন বায়ার এবং প্রোভাইডার হিসেবে এবং এই নিউজটি লিখার মুহুর্ত পর্যন্ত সর্বমোট অর্থ আয়ের পরিমান ১২,০৩,৯৩,৬০০ ডলার। সাইটটিতে আপনি একই সাথে কাজ করতে এবং আপনার কাজ অন্যদের দিয়ে করিয়ে নিতে পারবেন। বর্তমানে সাইটটিতে আপনি ঘণ্টা ভিত্তিক এবং বরাদ্দকৃত(Fixed) মূল্য ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, সফটওয়্যার ডিজাইন, আপ্লিকেশন ডিজাইন সহ আর ২০০ এর উপরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অজস্র কাজ পাবেন। সাইটটির ঠিকানা: https://www.freelancer.com
ওডেস্ক.কম: ফ্রীলান্সার.কম এর মতো ওডেস্ক-ও বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় ফ্রীলান্সিং মার্কেটপ্লেস। ২০০৩ সালে রেড সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া-তে ওডেস্কের কার্যক্রম শুরু হয়। ওডেস্কের সিইও হিসেবে আছেন Thomas Layton. ওডেস্কেও কাজের ধরন ২টাঃ ঘণ্টা ভিত্তিক এবং বরাদ্দকৃত(Fixed) মূল্য। মূলত: ওডেস্কের থেকেই ফ্রীলান্সার.কম তাদের কর্মসূচীতে ঘণ্টা ভিত্তিক কাজ করানোর প্রক্রিয়া চালু করে। ওডেস্কেও আপনি বিভিন্ন বিভাগের আওতায় কয়েক লক্ষাধিক কাজ পাবেন। এখানে ঘণ্টা ভিত্তিক কাজের টাকা আপনি আপনার ওডেস্ক সফটওয়্যারের রেকর্ড অনুযায়ী কাজ শেষে পাবেন। তবে নির্ধারিত(ফিক্সড) মূল্যের কাজের টাকার পেমেন্ট গুলোর কোন গ্যারান্টি পাবেন না। সেটা আপনি প্রোজেক্ট এর বিড প্লেস করার আগেই জানানো হয়। উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে সাইটটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২,০০,০০০ এর বেশি বিভিন্ন দেশের মানুষ বায়ার এবং প্রোভাইডার হিসেবে কাজ করছেন। এই সাইটটিতেও আপনি একই সাথে কাজ করতে এবং আপনার কাজ অন্যদের দিয়ে করিয়ে নিতে পারবেন। সাইটটির ঠিকানা: https://www.odesk.com
ভিওয়ার্কার.কম: বর্তমান ভিওয়ার্কার.কম মূলত রেন্ট-এ-কোডার.কম এর নতুন সংস্করণ। ২০০১ সালে থাম্বা, ফ্লোরিডা-তে সিইও ইয়ার ইপলিটো এর হাত ধরে রেন্ট-এ-কোডার.কম(বর্তমান ভিওয়ার্কারের) যাত্রা শুরু হয়। সাইটটি মূলত যাত্রা শুরু করে Craigslist বিজ্ঞাপন জাতীয় কাজ দ্বারা। বর্তমানে এই ধরনের কাজের সাথে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ডাটাবেজ ডিজাইন সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কয়েক লক্ষাধিক কাজের দেখা মিলে। সাইটটিতে বর্তমানে বায়ার এবং প্রোভাইডারের সংখ্যা মিলে দাঁড়ায় ৫,৩৩,০১০ জন। ফ্রীলান্সার এবং ওডেস্কের মতো এই সাইটটিতে আপনি একই সাথে বায়ার এবং প্রোভাইডারের ভূমিকা পালন করতে পারবেন না। দুটি ভূমিকায় কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ২টি একাউন্ট থাকতে হবে। সাইটটির ঠিকানা: https://www.vworker.com